Tuesday, 5 July 2016

হিযবুত তাহরীরের পৃষ্ঠপোষক হাসনাত করিম

হিযবুত তাহরীরের পৃষ্ঠপোষক হাসনাত করিম
ঢাকা: হিযবুত তাহরীরের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই হাসনাত রেজা করিম নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটি থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন।  ২০১২ সালে তাকেসহ চার জন শিক্ষককে এই কারণে অব্যহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

২০১২ সালের জুনের শেষ ভাগে এই ঘটনা ঘটে। সে সময়ে অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। সেই কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতেই অব্যহতি দেওয়া হয় হাসনাত রেজা করিম সহ চার জনকে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজনেস ফ্যাকাল্টির শিক্ষক ছিলেন হাসনাত করিম ওই বিভাগেরই শিক্ষার্থী ছিলেন গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে হামলাকারীদের একজন নিব্রাস ইসলাম। ধারণা করা হচ্ছে, নিব্রাসের সঙ্গে হাসনাত রেজা করিমের যোগাযোগ তখন থেকেই ছিলো। ২০১২ সালের মে মাসে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোর্সের নম্বরপত্রে নিব্রাসের নাম রয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাসনাত রেজা করিম চাকরিচ্যুত হয় ২০১২ সালেরই জুন মাসে।   

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে হিযবুত তাহরীরের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার নজির আগে থেকেই রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া রাইটার রাজিব হায়দার হত্যাকাণ্ডে জড়িতরাও ছিলো এই গ্রুপেরই সদস্য যাদের কেউ কেই নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।  

গুলশানের হোলি আর্টিসানে হত্যাকাণ্ডের সময় নর্থসাউথের সাবেক এই শিক্ষককে দোতলার বারান্দায় সিগারেট ফুঁকতে দেখা গেছে। সে সময় তার পিছনে দুই জঙ্গি মাথা নিচু করে হাঁটছিলো। এছাড়াও তাকে কাচের দরজার ওপাশে রাইফেল হাতে এক জঙ্গির পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে কথা বলতে দেখা গেছে।

আর জঙ্গি নাটকের অবসানের সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে নির্বিকারভাবেই বের হয়ে আসতেও দেখা যায় তাদের।

তবে ঘরে ফিরতে পারেন নি হাসনাত রেজা করিম। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। তখন থেকে ৫৬ ঘণ্টা যাবত তিনি গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েই রয়েছেন।

সন্দেহের কারণেই তাকে গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র।
গোয়েন্দ সূত্র জানায়, তারা দুটি বিষয় বিবেচনায় রেখে এগুচ্ছেন। এক এই হাসনাত করিমের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ ছিলো। তবে এমনও হতে পারে জঙ্গিদের একজন একসময় তার বিভাগের সরাসরি শিক্ষার্থী থাকায় তাকে মুক্ত করে দিয়েছে।

যদিও হাসনাত করিমের পরিবার এর আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, কোরআন শরীফ থেকে পাঠ করতে পারার সুবাদেই তারা মুক্তি পেয়েছিলেন।

এদিকে হাসনাত করিম এখন অফিসিয়ালি কর্মরত রয়েছেন বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এই প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এ তার নাম রয়েছে। আর নামগুলো পড়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি হতে পারে তাদের পারিবারিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।

ওই প্রতিষ্ঠানের কি ম্যানেজমেন্টের তালিকায় নাম রয়েছে আনোয়ারুল করিম নামের একজন। বাংলানিউজের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে টেলিফোন করে হাসনাত করিমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

হাসনাত রেজা করিম ঘুরে এসেছেন কাতারেও। এই সফরের তার উদ্দেশ্য কি ছিলো তা কোথাও জানা যায়নি। জিম্মি নাটকের রাতে ও সকালে তাকে যে টিশার্ট ও ন্যাড়া মাথায় হোলি আর্টিসানে দেখা গেছে একই টি-শার্ট পরা তার একটি ছবি রয়েছে ওই সফরের সময়েরও।     

এদিকে হাসনাত করিমকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উঠেছে নানা প্রশ্ন। একজন প্রশ্ন তুলেছেন- কে এই হাসনাত আর করিম? জিম্মি নাকি জিম্মিকারী জঙ্গি নেতা?

উঠে এসেছে নানা যুক্তিও।
একজন বলছেন, হাসনাত রেজা করিম নর্থ-সাউথ ভার্সিটির বিজনেজ ফ্যাকাল্টির শিক্ষক। নিব্রাস ইসলামও একই ফ্যাকাল্টির ছাত্র। অর্থাৎ তাদের ভিতরে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক। এছাড়া জঙ্গিদের আরও একজন ছিলো নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী।

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র আটকের বাংলানিউজে প্রকাশিত একটি লেখায় তুলে ধরা হয়েছিলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে জন্ম নেয়া জঙ্গিদের কথা। যেখানে শিক্ষক ও ছাত্র উভয়ই জঙ্গি।

বাংলাদেশ সময় ১৩৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৬

কাদা ছোড়াছুড়ি নয় এখন ঐক্যের সময়: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । ফাইল ছবিজাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন শর্ত দেওয়া বা কাদা ছোড়াছুড়ির সময় নয়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ক্ষমতাসীনদেরই এই ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশান হত্যাকাণ্ড নিয়ে দলের কর্মসূচি ঘোষণার সময় এ কথা বলেন।
গুলশান হত্যাকাণ্ড স্মরণে ১২ জুলাই দলীয়ভাবে শোক দিবস পালন করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ওই দিন মহানগর ও জেলায় শোক মিছিল করবে দলটি।

ফুল ভালোবাসতেন ইশরাত.

ইশরাত আখন্দ
ফুল ভালোবাসতেন। ভালোবাসতেন ছবি আঁকতে আর মানুষের সঙ্গে মিশতে। ইশরাত আখন্দ। বন্ধু বা কাছের মানুষেরা তাঁকে ডাকতেন নীলা নামে। ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। সেখানে তিনি সেদিন গিয়েছিলেন ছয় ইতালীয় অতিথিকে নিয়ে। তাঁদের সবাই এখন স্মৃতি।
ইশরাত মানবসম্পদ বিভাগে পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনাল এফজেডকোতে। সবাইকে আপন করে নেওয়ার দারুণ ক্ষমতা ছিল তাঁর। ইশরাতের মামা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী চঞ্চল খান বলেন, ‘চিত্রকলায় ছিল বিশেষ আগ্রহ। নিজেও ভালো ছবি আঁকত। ফুল-পাখি ভালোবাসা মেয়েটাকে এভাবে চলে যেতে হবে?’
ইশরাতের ফেসবুকের ওয়ালে ফুলের ছবি। পাখির ছবি। ২১ জুন ইশরাতের উচ্ছ্বাস ফেসবুকে—তাঁর অফিসঘরের ভেতর টবে কামিনী ফুল ফুটেছে। কৃত্রিম এয়ার ফ্রেশনারের বদলে অফিসঘরে তাঁর কামিনীর সুবাস। ১৮ মার্চ ইশরাত ফেসবুকে দিয়েছিলেন বেলিফুলের ছবি। লিখেছেন: আই অ্যাম হ্যাপি টুডে। ইটস অসাম টু হ্যাভ জেসমিন এভরি হয়্যার ইন দ্য স্ট্রিট। ওয়ান অব দ্য বেস্ট পার্ট অব লিভিং ইন ঢাকা!
রোটারি বাংলাদেশের সাবেক ডিসট্রিক্ট গভর্নর সাফিনা রহমানের সঙ্গে ইশরাতের পরিচয় ২০০৪ সালে। বয়সের পার্থক্য থাকলেও দুজনের বন্ধু হতে সময় লাগেনি। ২ জুলাই সাফিনার সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল ইশরাতের। সাফিনা রহমান বলেন, ‘প্রতি ঈদেই আমি ওর জন্য এবং সে আমার জন্য উপহার কিনে। ২ তারিখ বিকেলে তার আমার কাছে আসার কথা ছিল উপহার নিতে। আমি তার জন্য একটা চাঁপা সাদা আরেকটা গোলাপি রঙের কোটা শাড়ি কিনে রেখেছি।...’
দেশ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বাস ছিল ইশরাতের। কোথায় ভালো ছবির প্রদর্শনী হচ্ছে, কোথায় ভালো সংগীত বা নাটক হবে—সব তথ্যই ইশরাতের জানা থাকত। তাঁর বন্ধু ফেরদৌস বাপ্পি বলেন, ‘ইশরাত দেশ নিয়ে আনেক আশাবাদী ছিল। ঢাকা আর্ট সেন্টারের পরিচালক ছিল কিছুদিন।’ ঘুরতে ভালোবাসতেন ইশরাত। ঈদের ছুটিতে ৩ জুলাই তাঁর শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইশরাত এখন চিরনিদ্রায় শায়িত।
বেইলি রোড, শিল্পকলা একাডেমি, চারুকলার আর্ট গ্যালারিতে আর দেখা যাবে না ইশরাতকে। ফুল দেখে আর ইশরাত বলবেন না ‘আই অ্যাম ভেরি হ্যাপি টুডে’। অথবা চঞ্চল খানকে আর কেউ বলবেন না, মামা, ওই গানটা শোনাও তো—‘আমি কান পেতে রই...’।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/908194

হাসনাত করিমকে নিয়ে রহস্য

গুলশানে জঙ্গি হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে ফিরে আসা হাসনাত করিম নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি হামলাকারী জঙ্গিদের সহযোগী নাকি প্রকৃতই জিম্মি হয়েছিলেন তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। জঙ্গি হামলার ঘটনা অবসান হওয়ার পর অন্যা জিম্মিদের মতো হাসনাতকেও গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে রোববার বিকালে তাকে আবারো গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়। গতকাল সকালে হাসনাতের বাসা থেকে তার ল্যাপটপ নিয়ে গেছে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তার ল্যাপটপসহ মোবাইল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তবে তাকে আটক করা হয়েছে কিনা পুলিশের পক্ষ থেকে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জঙ্গিদের জিম্মি ঘটনার সময় ভোরের কোনো এক সময়ে হাসনাত করিমকে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁর দোতলার বারান্দায় দেখা যায়। তার পেছনে দুই বন্দুকধারী ছিল। ওই ছবিটি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এছাড়া ডি কে হোয়াং নামে কোরিয়ান এক নাগরিক হলি আর্টিজান রেস্তরাঁর পাশের লেকভিউ ক্লিনিক থেকে মোবাইল ফোনে সেনা কমান্ডোদের অভিযানের আগ মুহূর্ত ভিডিও করেন। সেখানে হাসনাত করিমকে নিচতলার একটি কাঁচের দরজার ভেতরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। এই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তার আচরণ সন্দেহজনক মনে করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যদের মতো হাসনাত করিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে, এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইলে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ রয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসনাত করিম এক সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক ছিলেন। ২০১২ সালে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হিযবুত তাহ্‌্‌রীরের সদস্য অভিযোগে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর থেকে তিনি বাবা প্রকৌশলী রেজাউল করিমের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পরিচালক ছিলেন।
হাসনাত করিমের বাবা প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, তার ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বৃটেনে পড়াশোন করেছে। আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়েছে সে। এরপর ২০০০ সালে সে বাংলাদেশে ফিরে আসে। ২০০৭-০৮ সাল থেকে সে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে। ২০১২ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়। গুলশান-২-এর একটি বাসায় সে পরিবার নিয়ে থাকতো।
রেজাউল করিম বলেন, হাসনাতকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। আমি ডিবি কর্মকর্তাদের বলেছি, আপনারা যত পারেন জিজ্ঞাসাবাদ করেন কিন্তু নির্যাতন করবেন না। তার সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। রেজাউল করিম বলেন, আমার ছেলে জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নয়। সে তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ওই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে অন্যদের মতো জঙ্গি হামলার কবলে পড়ে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, হাসনাত করিম প্রকৃতই সেদিন সন্তানের জন্মদিন উপলক্ষে ওই রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন কিনা তা যাচাই-বাছাই চলছে। তার বক্তব্যের সঙ্গে অন্যদের বক্তব্যও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিবির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, যারা জিম্মি অবস্থায় ওই রেস্তরাঁয় আটকে ছিল তাদের অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে আতঙ্কগ্রস্ত থাকার কারণে তারা সঠিকভাবে ঘটনা ‘রিকল’ করতে পারছিল না। যাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদের প্রয়োজনে আবারো ডেকে কথা বলা হবে।

বেতন দাবি করায় আশুলিয়ায় শ্রমিকদের উপর গুলি বর্ষণ, অর্ধশতাধিক আহত


সাভার: বেতন না পাওয়ায় তৈরি পোশাক কারখানায় বিক্ষোভ মিছিল করায় শ্রমিকদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিকালে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা কারখানার মালিকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় রাজধানীর সায়মন মিয়ার গ্রীণ লাইফ নীট কম্পোজিট কারখানায় এঘটনা ঘটে।

শ্রমিকরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে আজ সোমবার গ্রীণ লাইফ গার্মেন্টস এ তিন হাজার শ্রমিকের বেতন দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মালিকপক্ষ বিকালে শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় কারখানার ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শ্রমিকরা। এসময় কারখানার মালিক সায়মন ও আশুলিয়া ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য জালাল আহমেদ কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উপরে নিজস্ব অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি ভাবে গুলি চালায়। এসময় কারখানার মালিকের এলোপাথারী গুলিতে কারখানার শ্রমিক হাছান, বাদশা, লাকি, রহিমাসহ গুলিবিদ্ধসহ দেড় শতাধিক শ্রমিক আহত হন। পরে শ্রমিকরা কারখানার মালিক সায়মন ও ঝুট ব্যবসায়ী জালাল আহমেদকে গ্রেফতারের দাবিতে বাইপাইল-আব্দুল্লাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এসময় শিল্প পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। পরে অন্য শ্রমিকরা গুলিবিদ্ধসহ আহত শ্রমিকদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আশুলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এঘটনায় কারখানার প্রায় এক’শ শ্রমিককে কারখানার ভিতরে একটি রুমে আটকে রেখে মানুষিক ভাবে নির্যাতন করেছে মালিক সায়মন।

এবিষয়ে শিল্প পুলিশ-এর পরিচালাক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, তদন্ত করে কারখানার মালিককে আইনের আয়তায় আনা হবে।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান আলোচনা

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। গুলশানে সন্ত্রসী হামলা পরিস্থিতিতে সন্ত্রাস ও জঙ্গী প্রশ্নে দুই দেশ আরও সুদৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের ওয়েব সাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়- মন্ত্রী কিশিদা মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিজ ক্যরোলিন কেনেডির সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় ১০ মিনিট তাদের মধ্যে কথা হয়। সেখানে রাষ্ট্রদূত ক্যরোলিন ঢাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে জাপানী নাগরিকদের নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা কখনও সহ্য করার নয়। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার জাপান সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে লড়াইয়ে আগ্রহী। এ অঞ্চলে জাপাননের জন্য যুক্তরাষ্ট্র শান্তি ও স্থিতিশীলতায় যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত বলেও জানান রাষ্ট্রদূত ক্যরোলিন। যুক্তরাষ্ট্রের অফারের বিষয়ে জাপানী পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
ঢাকার ঘটনাকে হিংস্র কর্ম আখ্যা দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিব সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে জাপানের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে কোন পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

স্বজনদের কাছে নিহত জাপানিদের মরদেহ

স্বজনদের কাছে নিহত জাপানিদের মরদেহ


রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় নিহত সাত জাপানি নাগরিকের মরদেহ তাঁদের নিজ দেশে পৌঁছেছে।
আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে সাতজনের মরদেহ নিয়ে জাপান সরকারের একটি বিশেষ বিমান দেশটিতে পৌঁছে।
বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে আজ জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণ করে মরদেহবাহী বিমানটি। পরে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।
জাপান সরকারের তথ্য অনুযায়ী বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিরা হলেন আলমেক করপোরেশন নামে টোকিওভিত্তিক একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মী মাকোটো ওকামুরা (৩২), ইওকো সাকাই (৪২), রুই শিমোদাইরা (২৭)। এ ছাড়া টোকিওভিত্তিক আরেক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস গ্লোবাল কোম্পানির কর্মী হিদেকি হাশিমতো (৬৫), নবুহিরো কুরোসাকি (৪৮) ও হিরোশি তানাকা (৮০)। নিহত সপ্তম ব্যক্তির নাম কোয়ো ওগাসাওয়ারা (৫৬)। তিনি কাতাহিরা অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টারন্যাশনালে কর্মরত ছিলেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে আকস্মিক হামলা চালায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। এতে ১৭ বিদেশিসহ তিন বাংলাদেশি নিহত হন। জিম্মি করা হয় রেস্তোরাঁটিতে খাবার খেতে আসা অতিথিদের।
পরে শনিবার সকালে এক কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে জিম্মিদের ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে তামাওকি ওয়াটানবে নামে এক জাপানিও ছিলেন। তিনিও আলাদা বিমানে করে আজ সকালেই টোকিও পৌঁছেছেন।
টোকিওতে মরদেহবাহী বিমানটি পৌঁছার পর নিহতদের স্মরণে প্রার্থনা করেন জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং জাপানের মন্ত্রিসভার উপসচিব কইচি হ্যাগিউদা।
- See more at: http://amarbangladesh-online.com/index.php/details/focus/7735#sthash.8pLW4n1J.JSz4KUoS.dpuf

সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর অবসর ঘোষণার পর থেকেই প্রশ্নটা ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাতাসে, মেসি কি আসলেই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে চিরতরে বিদায় বলে দিয়েছেন? নাকি এ শুধুই সাময়িক অভিমান, কিছুদিন পরই আবার আকাশি-সাদায় উজ্জ্বল হয়ে ফিরবেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক?



সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর অবসর ঘোষণার পর থেকেই প্রশ্নটা ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাতাসে, মেসি কি আসলেই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে চিরতরে বিদায় বলে দিয়েছেন? নাকি এ শুধুই সাময়িক অভিমান, কিছুদিন পরই আবার আকাশি-সাদায় উজ্জ্বল হয়ে ফিরবেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক?
আর্জেন্টিনার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা লা ন্যাসিওন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্বিতীয়টিই সত্যি হতে চলেছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, লিওনেল মেসির অবসর ঘোষণাটা আসলে সাময়িক বিরতির মতোই হতে যাচ্ছে। বিরতি শেষে আবারও জাতীয় দলে ফিরবেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪—তিন বিশ্বকাপেই মেসির সঙ্গে খেলেছেন, এমন ঘনিষ্ঠ এক সতীর্থ লা ন্যাসিওনকে বলেছেন, ‘ও ফিরবে। ২০১৮ বিশ্বকাপও ওর ভাবনায় আছে।’
শতবার্ষিকী কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা মিলিয়ে টানা তিন বছরে তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়েও হারতে হয়েছে। এই যন্ত্রণা থেকেই হয়তো ম্যাচের পরই আর্জেন্টিনার হয়ে আর খেলবেন না বলে জানিয়ে দেন মেসি। এরপর থেকে মেসির সিদ্ধান্ত বদলানোর পক্ষে রীতিমতো আন্দোলনই যেন চলছে। পেলে-ম্যারাডোনার মতো কিংবদন্তিরা তাঁকে সিদ্ধান্ত বদলানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। আর্জেন্টিনার মানুষও এরই মধ্যে বুয়েনস এইরেসের রাস্তায় নেমে এসেছেন মেসিকে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ফেরানোর দাবি নিয়ে। এমন অবিশ্বাস্য সমর্থনে কি একটু মন গলেছে মেসির? হয়তোবা।
কিন্তু মেসি যদি ফেরেন, কখন ফিরবেন? উত্তরটা জানতে অবশ্য একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু হয়ে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সেপ্টেম্বরের ২ ও ৬ তারিখে উরুগুয়ে ও ভেনেজুয়েলা, অক্টোবরে পেরু ও প্যারাগুয়ের সঙ্গে ম্যাচ। ৭ নভেম্বর ব্রাজিল ম্যাচ, আট দিন পর কলম্বিয়া। মেসি ঠিক এর কোন ম্যাচটি দিয়ে আবারও আলবিসেলেস্তে জার্সিতে ফিরবেন, সেটি এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
তবে লা ন্যাসিওনই আবার লিখেছে, ‘এ মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে বাহামাতে ছুটি কাটাচ্ছেন মেসি। এখনই তাঁর ফেরার তারিখ নিয়ে ঠিকঠাক বলা যাচ্ছে না। কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। তবে এটাও জেনে রাখুন, নাটকের শেষটা ঠিক হয়েই আছে—মেসি ফিরে আসবেন।’
সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর অবসর ঘোষণার পর থেকেই প্রশ্নটা ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাতাসে, মেসি কি আসলেই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে চিরতরে বিদায় বলে দিয়েছেন? নাকি এ শুধুই সাময়িক অভিমান, কিছুদিন পরই আবার আকাশি-সাদায় উজ্জ্বল হয়ে ফিরবেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক?
আর্জেন্টিনার শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা লা ন্যাসিওন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্বিতীয়টিই সত্যি হতে চলেছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, লিওনেল মেসির অবসর ঘোষণাটা আসলে সাময়িক বিরতির মতোই হতে যাচ্ছে। বিরতি শেষে আবারও জাতীয় দলে ফিরবেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪—তিন বিশ্বকাপেই মেসির সঙ্গে খেলেছেন, এমন ঘনিষ্ঠ এক সতীর্থ লা ন্যাসিওনকে বলেছেন, ‘ও ফিরবে। ২০১৮ বিশ্বকাপও ওর ভাবনায় আছে।’
শতবার্ষিকী কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা মিলিয়ে টানা তিন বছরে তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়েও হারতে হয়েছে। এই যন্ত্রণা থেকেই হয়তো ম্যাচের পরই আর্জেন্টিনার হয়ে আর খেলবেন না বলে জানিয়ে দেন মেসি। এরপর থেকে মেসির সিদ্ধান্ত বদলানোর পক্ষে রীতিমতো আন্দোলনই যেন চলছে। পেলে-ম্যারাডোনার মতো কিংবদন্তিরা তাঁকে সিদ্ধান্ত বদলানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। আর্জেন্টিনার মানুষও এরই মধ্যে বুয়েনস এইরেসের রাস্তায় নেমে এসেছেন মেসিকে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ফেরানোর দাবি নিয়ে। এমন অবিশ্বাস্য সমর্থনে কি একটু মন গলেছে মেসির? হয়তোবা।
কিন্তু মেসি যদি ফেরেন, কখন ফিরবেন? উত্তরটা জানতে অবশ্য একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু হয়ে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সেপ্টেম্বরের ২ ও ৬ তারিখে উরুগুয়ে ও ভেনেজুয়েলা, অক্টোবরে পেরু ও প্যারাগুয়ের সঙ্গে ম্যাচ। ৭ নভেম্বর ব্রাজিল ম্যাচ, আট দিন পর কলম্বিয়া। মেসি ঠিক এর কোন ম্যাচটি দিয়ে আবারও আলবিসেলেস্তে জার্সিতে ফিরবেন, সেটি এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
তবে লা ন্যাসিওনই আবার লিখেছে, ‘এ মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে বাহামাতে ছুটি কাটাচ্ছেন মেসি। এখনই তাঁর ফেরার তারিখ নিয়ে ঠিকঠাক বলা যাচ্ছে না। কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। তবে এটাও জেনে রাখুন, নাটকের শেষটা ঠিক হয়েই আছে—মেসি ফিরে আসবেন।’

মিতু হত্যার সন্দেহভাজন দুই আসামি রাশেদ ও নবী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত



চট্টগ্রাম : এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার অন্যতম আসামি রাশেদ ও নবী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
- See more at: http://amarbangladesh-online.com/index.php/details/focus/7728#sthash.f3wm4JNQ.N1Kko4cN.dpuf

Monday, 4 July 2016

হামলার ২০ মিনিটের মধ্যেই বিদেশিদের হত্যা করা হয়: আইজিপি

ঢাকা: গুলশানের হোটেল হলি আর্টিজানে হামলার ২০ মিনিটের মধ্যেই সন্ত্রাসীরা বিদেশিদের হত্যা করে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক।

সোমবার দুপুরে তিনি এ কথা জানান।

বাংলাদেশে জরুরী ভিত্তিতে সামরিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন”- যুক্তরাষ্ট্র


hugoS-700x336

“বাংলাদেশে জরুরী ভিত্তিতে সামরিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন”- যুক্তরাষ্ট্র (ভিডিও)

“Military intervention in Bangladesh ‘সামরিক হস্তক্ষেপ’ ? United States Congress” – Congressman Matt Salmon, Chairman, Foreign Affairs Subcommittee on Asia and the Pacific.
কংগ্রেসম্যান ম্যাট স্যালমন, চেয়ারম্যান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কমিটি এশিয়া : “প্রথমত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে চুপ থাকার অবস্থা নাই” কারন বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে।বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা আজ হুমকির সম্মুখিন। যে কারনে জঙ্গি গোষ্ঠী গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এরূপ অবস্থা সামরিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ১৬ কোটি জনগনের দেশ এবং ২ টি বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। ২০০৯ এ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটিতে একটি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় ছিল কিন্তু ২০১৪ সালের এক তরফা নির্বাচনের কারনে পুনরায় দেশটিতে রাজনৈতিক অশান্তি বিরাজ করছে। ফলে বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা এবং দেশটির ভবিষ্যৎ আজ হুমকির সম্মুখীন। ঐ নির্বাচনের পরেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ মৃতপ্রায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের পারস্পারিক কর্মকাণ্ডে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে যা কিনা সমগ্র গনতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করছে ৷

জঙ্গিরা কোন কিছু দাবি করেনি, বিবিসিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে যারা হামলা চালিয়েছে তারা তারা কোন কিছু দাবি করেনি বা কোন শর্ত দেয়নি।
তার মতে অস্ত্রধারী আক্রমণকারীরা যারা ২০ জনকে হত্যা করেছে তারা উচ্চ শিক্ষিত ও ধনী পরিবারের সন্তান।
কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস শুক্রবারের ওই হামলার দায় স্বীকারের দাবি করলেও মিস্টার খান তাও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে জঙ্গিদের হাতে নিহতদের মৃতদেহ আজ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর কয়েকটি গণমাধ্যমে দাবি করা হয় যে রেস্তোরায় হামলাকারী জঙ্গিরা তিনটি শর্ত দিয়েছে।
কিন্তু রয়টার্সের সাথে সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এটি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে সাত জন জঙ্গি ২০জনকে হত্যা করেছে তারা কোন শর্ত দেয়নি বা কোন কিছু দাবি করেনি।


তিনি বলছেন যে সন্দেহভাজন একজনকে পুলিশ আটক করেছে যিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইসলামিক স্টেটের দায় স্বীকারের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে রয়টার্সকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ইসলামিক স্টেট নয় বরং হোমগ্রোউন বা স্থানীয় ভাবে তৈরি হওয়া জঙ্গিরা এসব ঘটনার সাথে জড়িত।
জঙ্গিদের যেসব ছবি আইএস প্রচার করেছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন আইএস র একটি পোস্টারের সামনে বন্দুক হাতে নিয়ে দাঁড়ালেই কি আইএস হয়ে গেলো ?
মিস্টার খান আবারো জেএমবিকেই এসব ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১৭ জন বিদেশী ও তিন জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে জঙ্গিদের হাতে।

এর মধ্যে ১০ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ। তাদের বিদেশীদের মধ্যে ইটালি, জাপান ও ভারতের নাগরিকরা রয়েছে।
নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তাদের স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
ইটালির নাগরিকদের মৃতদেহ নিতে সেদেশের সরকার বিশেষ বিমান পাঠিয়েছে। অন্যদিকে জাপানি নাগরিকদের স্বজনদের একটি দল ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও ঢাকায় এসেছেন।

জিম্মি হাসনাত করিমের বাসায় মধ্যরাতে অভিযান !

জিম্মি হাসনাত করিমের বাসায় মধ্যরাতে অভিযান !


গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে যৌথ অভিযানে জীবিত উদ্ধার হওয়া জিম্মি হাসনাত করিমের বাসায় অভিযান চালিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার মধ্যরাতে হাসনাত করিমের বনানীর বাসায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যদিও তথ্যটি ডিবির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার ডিসি মাসুদুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযানের তথ্য আমার জানা নেই।’
তবে ডিবির বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, একজন এডিসির নেতৃত্বে রোববার মধ্যরাতে হাসনাত করিমের বাসায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই বাসা থেকে হাসনাত করিমের ব্যবহৃত ল্যাপটপসহ বেশ কিছু মালপত্র জব্দ করা হয়।
এদিকে অভিযানের প্রসঙ্গে হাসনাত করিমের বাবা রেজাউল করিমের সাঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না। নিষেধ আছে।’
জিম্মি অবস্থায় ওই রেস্টুরেন্টের পাশের একটি ভবন থেকে ডিকে হোয়াং নামের দক্ষিণ কোরীয় এক নাগরিকের করা মোবাইল ভিডিও ফুটেজে  হাসনাত করিম নামের ওই জিম্মির সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করা গেছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ন্যাড়া মাথার চেক গেঞ্জি ও ‍জিন্স পরা এক ব্যক্তি একাধিক স্থানে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার করার মতো সন্দেহজনক আচরণ করছে। হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টের কাচের তৈরি মূল ফটকটিতে তাকে বেশ কয়েকবার এসে ঘুরে যেতে দেখা যায়। দুই অস্ত্রধারীর সঙ্গে ছাদেও দেখা গেছে তাকে। 
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। সকালে সেনাবাহিনির নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ওই রেস্টুরেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তাবাহিনী।
এ সময় ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধারের পাশাপাশি এই ২০ জনের মৃতদেহ এবং ৬ জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
- See more at: http://amarbangladesh-online.com/index.php/details/focus/7696#sthash.reIr84qQ.RzOJM9Js.dpuf

প্রথম আলোর লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ হিরো ন​য় , সন্দেহভাজন জঙ্গি !!


প্রথম আলোর লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ হিরো ন​য় , সন্দেহভাজন জঙ্গি !!


victims
আমরা এখন আপনাদের যে তথ্য দিতে যাচ্ছি সেটি শুনলে আপনারা হয়ত চমকে উঠবেন কিংবা আপনাদের ভেতরে জেগে উঠবে সন্দেহ। এমনও হতে পারে যে আপনি আমাদের প্রতি ঘৃণায় মুখ কুঁচকাবেন আমাদের মিথ্যেবাদী বলে।
কিন্তু আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা পরিশ্রম করে, ডি কে হোয়াং নামের কোরিয়ান ভদ্রলোকের গোপনে ধারনকৃত ভিডিও দেখে এবং সেটি থেকে কেটে কেটে, প্রতি সেকেন্ডের ভিডিও পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে ফারাজ আইয়াজ হোসেন নামে যে ছেলেটিকে নানা মিডিয়া (বিশেষ করে প্রথম আলো) যে হিরো বানাচ্ছে আসলে এই ফারাজ-ই হচ্ছে গুলশান ম্যাসাকারের জঙ্গীদের মধ্যে একজন জঙ্গী। আমরা আমাদের এই দাবীর পক্ষে যুক্তি দিব, প্রমাণ দেব এবং আমাদের এই দাবী আর যুক্তিগুলোকে আপনাদের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
প্রথম আলোর মালিক লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেনের সম্পর্কে যে হিরোসুলভ ও মহিমান্বিত সংবাদ আমরা পাচ্ছি সেটিকে পোর্টাল বাংলাদেশ কোনোভাবেই বিশ্বাস করেনি নানান কারনেই। আর সে না করার পেছনে কারন একটাই। সেই হোয়াং সাহেবের ভিডিও। হোয়াং সাহেবের ভিডিওতে একটি অংশে দেখা যাচ্ছে যে একটি জঙ্গী রেস্টুরেন্টের মূল ঢুকবার কাঁচের দরজার পাশে অবস্থান নিয়েছে এবং কয়েক সেকেন্ডের জন্য সে দরজা দিয়ে উঁকি মারছে। তার পিঠে রয়েছে পেছনে “উইলসন” নামের একটি ব্যাগ।(র‍্যাকস্যাক)
killer-8-132x300
আমরা এই জঙীটির উঁকি দেয়ার ভিডিও আপনাদের প্রথমে নরমাল মোশনে দেখাব। তারপর এই একই ভিডিও-ই আমরা একটু স্লো করে করেছি, তারপর আবার আরেকটু স্লো। তিন বারের এই একই ভিডিওতে আপনারা যাকে দেখবেন তার সাথে ফারাজ আইয়াজ হোসেনের ছবিটি এইবার একটু মেলান।কি চমকে গেলেন? ফারাজের মতই লম্বা, চুলকাটা আর স্পস্ট তারই প্রতিচ্ছবি।



জঙ্গিটির বা দিকের চুল একটু ছাটা আর ডান দিকের চুল কম। সাম্প্রতিক সময়ের চুলের এই স্টাইল-ই ছিলো এই উঁকি মারা জঙ্গীর। এইবার আপনি ফারাজের চুলের স্টাইল দেখুন। কি দেখলেন? মিলে গেছে, তাই তো? এইবার আসুন দেখি ফারাজের উচ্চতা কেমন। উঁকি মারা জঙ্গীটির উচ্চতা কমের পক্ষে ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি থেকে ৬ ফুট। আমাদের অনুমান সেটাই বলে। এইবার আপনি ফারাজের উচ্চতা দেখুন নিচের ছবিতে। আন্দাজ করতে পারবেন আপনিও।
Jain-and-Hossain
ফারাজ আমেরিকার একটি ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে এখন আর সে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে তারই বন্ধু আবন্তি। তাদের আরেক বন্ধু ভারতীয় তারাশি জৈন। এই দুজনকে আসলে মরতেই হোতো কেননা ফারাজ যে জঙ্গী এটা তারা জেনেছিলো এই ভয়াবহ রাতে। একইভাবে ইশরাত আখন্দকে প্রাণ দিতে হয়েছিলো কারন ঘটনাটা ইশরাতও দেখে ফেলেছে। এরা মুক্তি পেলে প্রথম আলোর কর্ণধার নানা লতিফুরের বারোটা বাজবে, সেটা জঙ্গী ফারাজ ঠিকি জানতো। সুতরাং সে ঝুঁকি সে নেবে কেন?
আর বাকী বাংলাদেশী যারা মুক্তি পেয়েছে সেই দলের হোতা যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির হাসনাত করিম এবং সেও যে জঙ্গীদের সহযোগী এই ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই লেখা হয়েছে। তাই এরা মুক্তি পেলে এই সত্য আর কেউ জানতে পারবে না, এই ব্যাপারে ফারাজ নিশ্চিত ছিলো।
আইন শৃংখলা বাহিনী ৬ জনকে হত্যা করেছে আর এক জঙ্গীকে ধরেছে এই কথা বার বার চাউর করা হলেও আমরা ৫ জনের লাশ দেখেছি আর তাদের সাথে আছে শেফের পোষাক পরা একজনের লাশ। এই শেফ লোকটি জঙ্গী নয় কিন্তু খামাখাই মিডিয়া তাকে জঙ্গী বলে প্রচার করেছে। এই শেফ লোকটির নাম সাইফুল। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াচ্ছে? দাঁড়াচ্ছে যে ৬ জঙ্গী হত্যার কথা বল্লেও আসলে লাশ পেলাম ৫ জনের। কিন্তু প্রথম একটি ছবিতে ফারাজের লাশ দেখা গেলেও আরেকটি ছবিতে ফারাজের লাশ পুরোপুরি উধাও। আর প্রথম ছবিতে ফারাজের লাশ চিহ্নিত করা গেছে তার পায়ের সাদা কেডস দেখে। ভিডিওতে আপনারা দেখবেন যে ফারাজের পায়ে সাদা কেডস ছিলো।faraz
লতিফুর রহমানের মান সম্মান রক্ষার জন্য এখন কোনো না কোনো ভাবে এইটুকু ম্যানেজ হয়েছে যে ফারাজ এর নাম যাতে জঙ্গীর তালিকায় না আসে। আর প্রথম আলো তো প্রচার করে যাচ্ছেই যে ফারাজ কত মহান ছিলো।
এখানে আরেকটি ব্যাপার উল্লেখ্য যে ফারাজ সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকা থেকে এসেছে। ফারাজের পিঠে যে ব্যাগ চাপানো ছিলো সেটি দেখা যাচ্ছে “উইলসন” ব্র্যান্ডের যেটি একটি আমেরিকান ব্র্যান্ডের ব্যাগ। যদিও এই ব্যাগ হয়ত বাংলাদেশেও খুঁজলে পাওয়া যাবে এবং এটা হয়ত আসলে আমরা যুক্তির আদলে ফেলছিও না। তারপরেও শুধু একটু সূত্র দিয়ে রাখলাম যদি ভাবতে সুবিধা হয়।
wilson-102x300

তবে এত কিছুর পর খটকা এক যায়গাতেই। সেটা হচ্ছে মোট ৭ জঙ্গীর কথা বলা হলেও, লাশ পেলাম ৪ জনের। আর বাকী ৩টা গেলো কই এবং আই এস তাদের ৫ জঙ্গীর ছবি প্রকাশ করেছে। বাকী ২ জনের টা নয় কেন? এর কারন কি এটা হতে পারে যে বাকী দু’জন ধরা পড়েছে বলে তাদের নাম প্রকাশ থেকে বিরত রাখা হয়েছে? কিন্তু প্রকাশিতদের মধ্য থেকে কিন্তু ফারাজের ছবি নেই। তাহলে কি আই এস ভেবেছে ফারাজ ধরা পড়েছে? সে কারনেই কি ফারাজের ছবি প্রকাশ থেকে বিরত থাকা হয়েছে নাকি লতিফুরের পরিবার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে এসব? তাদের সাথে কি ভুল কমিউনিকেশন হয়েছে? কেননা তাদের প্রকাশিত ৫ জন জঙ্গীর মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পেলেও একজনের ছবির সাথে কোনো লাশের ছবির-ই মিল নেই।
Source : http://portalbangladesh.com/bn/index.html/2016/07/17
 
Blogger Templates