Sunday, 5 June 2016

সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এক মিনিটেরও কম সময়ে খুন

ঘটনাস্থলে ঢেকে রাখা মাহমুদা ​খানমের লাশ। চারদিক নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা। ছবি: সৌরভ দাশঘটনাস্থলে ঢেকে রাখা মাহমুদা ​খানমের লাশ। চারদিক নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা। ছবি: সৌরভ দাশআজ রোববার সকাল সাতটা। চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার ব্যস্ততম জিইসি মোড়সংলগ্ন ওয়েল ফুড নামে মিষ্টির দোকানের সামনের রাস্তা। সড়কের গোল পাহাড়ের দিক থেকে ছেলেকে স্কুল গাড়িতে তুলে দিতে জিইসি মোড় আসছিলেন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম। আর মোটরসাইকেল করে তিন যুবক জিইসি মোড় থেকে গিয়ে তাঁর সামনে হাজির। মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবকের মধ্যে এক যুবক তাঁকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে, আরেক যুবক গুলি করে চলে যায়। সময় নেয় ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড।
ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ প্রথম আলোকে এমনটাই জানান।

পরিতোষ ঘোষ আজ দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে প্রথম আলোকে বলেন, হত্যার ধরন দেখে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা আগে থেকেই ঘটনাস্থল রেকি করেছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গজ দূরে বাসা থেকে বের হয়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে কখন আসবেন, তা নিশ্চয় দুর্বৃত্তরা আগে থেকে খোঁজখবর রাখছিল। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী তাঁর ছেলে মাহমুদ আকতার মাহিরকে নিয়ে জিইসি মোড় পৌঁছার আগেই ওয়েল ফুড নামক দোকানের সামনে মোটরসাইকেলে করে তিন আরোহী আসে। যে গাড়ি চালাচ্ছিল, তার মাথায় হেলমেট ছিল। বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫। তার পেছনে দুজন বসা ছিল। মাঝখানে বসা যুবকের হাতে ছুরি ছিল। পেছনে বসা তৃতীয়জনের হাতে একটি পিস্তল ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মাহমুদা খানমের লাশ। ছবি: সৌরভ দাশপরিতোষ ঘোষ আরও বলেন, মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবক প্রথমে মাহমুদা খানমকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাঝখানে থাকা যুবক প্রথমে তাঁর বুকে, হাতে ও পিঠে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। তৃতীয়জন তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে। প্রথম ফায়ারটি মিস হয়। দ্বিতীয় ফায়ারে বাবুল আক্তারের স্ত্রীর কপালের বাঁ পাশে গিয়ে লাগে। সবকিছু করতে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড লাগে।
পরিতোষ ঘোষ জানান, ভিডিও ফুটেজ থেকে পাওয়া তিন যুবকের চেহারা স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে না। প্রথমজনের মাথায় হেলমেট থাকায় চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। তারপরও তাদের খোঁজা হচ্ছে।
আরও পড়ুন... 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment.

 
Blogger Templates